নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধ ও কমিটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে তিনজন আহত হন। গতকাল রোববার রাতে নগরীর কান্দিরপাড় টাওয়ার হসপিটালের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কমিটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। তিনজন আহত হয়েছেন। কবির হোসেন নামে এক যুবদল নেতা বাদী হয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ‘জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সঙ্গে বিরোধের জেরে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। সবাই আমাদের লোক। আমরা জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, গত রমজানে একটি ইফতার মাহফিলে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলামকে মারধর করেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু। এ ঘটনায় ফরিদ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলা করে তাঁকে মারধর করেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। এ ঘটনায় রিয়াজকে পদ থেকে অব্যহতি দেন কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে গত ২ জুন কেন্দ্রী যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে বহাল করা হয়। এ নিয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবুর অনুসারিরা নগরীতে আনন্দ মিছিল করেন। মিছিলের পরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে সংঘর্ষে শুরুতে কুমিল্লা-লাকসাম সড়কের রামঘাটলা পৌর মার্কেটের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন যুবক ঈশ্বরপাঠশালা গেইট পর্যন্ত ১০ /১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর তারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বিপরীত পাশের ভিক্টোরিয়া কলেজের গলি দিয়ে চলে যায়।
এ সময় ২২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহবায়ক ফখরুল ইসলাম তুহিন, অন্তর আহম্মেদ ও মো. সবুজ নামে তিনজন আহত হন। আহতরা আবু গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে।