বিবর্তন ডেক্সঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে মাঝরাতে ফিল্মি স্টাইলে পুলিশ পরিচয়ে থানার সামনে পিকআপ ভ্যান আটকে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মুরাদনগর থানায় প্রবেশের মূল গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার মৎস্য ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকার (৫২) উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র সরকারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর দাবি ঘটনার পরদিন বুধবার দুপুর পর্যন্ত তার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করছে না থানার কোন কর্মকর্তা। অথচ থানার ওসি বলছেন এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি অভিযোগ নিয়ে এখনো থানায় আসেনি কেউ।
মৎস্য ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন চন্দ্র সরকার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমি মাছ ক্রয় করে শহরে নিয়ে তা বিক্রি করি। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকা থেকে বাডা মাছ ক্রয় করতে যাই। সেখান থেকে যে পরিমাণ মাছ ক্রয় করার কথা ছিল তা করতে না পারায় আমার কাছে নগদ ১ লক্ষ টাকা থেকে যায়। রাত ১টার দিকে পিকআপ ভ্যানে করে মুরাদনগর সদরের আল্লাহু চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ পরিচয়ে একটি সাদা প্রাইভেটকার ও দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৬ জন ব্যক্তি আমাদেরকে আটকায়। তারা তখন তল্লাশি করতে চাইলে আমরা তাদেরকে থানায় যেতে বলি। একপর্যায়ে তারা আমাদেরকে থানার মূল গেইটের সামনে নিয়ে আসে। আমরা থানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তারা জোরপূর্বক সেখানে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার এর কাছে থাকা ২হাজার টাকা ও তার কাছে দিয়ে রাখা আমার ১ লক্ষ টাকা তারা মারধর করে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে আমরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ডাকাডাকি করলে তারা দ্রুত সেই প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেল যুগে মুরাদনগর গোমতী নদীর বাঁধের রাস্তা দিয়ে পশ্চিম দিকে চলে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানায় জানানো হলে। তারা পরদিন সকালে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেন। বুধবার সকাল ১০টায় অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও দুপুর পর্যন্ত থানায় কর্মরত কেউই অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।