বিবর্তন রিপোর্টঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে রোহিঙ্গা যুবককে ভুয়া জন্মসনদ করে দেয়ার অভিযোগে সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ইসমাইল হোসেন (৪২) ও ব্যবসায়ী নকীব মোহাম্মদ নাছরুল্লাহকে (২৭) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় মুরাদনগরের বাখরগঞ্জ বাজার থেকে নাছরুল্লাহকে ও বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ইউপি সচিব ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে দিতেন তারা, এবার ধরা পড়লেন গোয়েন্দা পুলিশর জালে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া।
গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন সদর উপজেলার গুনানন্দী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। নকীব মোহাম্মদ নাছরুল্লাহ মুরাদনগরের কুলু বাড়ি এলাকা মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি কোম্পানিগঞ্জ বাজারের নকীব ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের মালিক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন ও হাসিনা বেগমের ছেলে হিসেবে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান ইয়াছির নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। এসময় রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ হলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তার সঠিক জবাব দিতে না পারায় তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি রোহিঙ্গা।
এরপর রোহিঙ্গা যুবক ইয়াছিরের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে ভুয়া জন্মনিবন্ধনসহ পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী চক্রের সদস্যদের নাম।
ইয়াছিরের জবানবন্দি অনুযায়ী অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। চার মাস পর বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে নাছরুল্লাহকে। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।