স্পোর্টস ডেস্ক:
পঞ্চাশের আগেই আয়ারল্যান্ডের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর প্রতিরোধ গড়েছিলেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার।
তাদের জুটি বড় হচ্ছিল, হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন টেক্টর। শেষ অবধি অবশ্য এই জুটি ভেঙেছে। দ্রুতই আরও তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ে০তম ওভারে এসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করেছে আয়ারল্যান্ড।
এর আগে প্রথম সেশনে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়ে ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড। ১৮ রানে অপরাজিত আছেন হ্যারি টেক্টর, ৯ রান করে তার সঙ্গী কার্টিস ক্যাম্ফার।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আইরিশ দুই ওপেনার জেমস ম্যাককুলাম আর মুরে কমিন্স সাবধানে ইনিংস শুরু করেছিলেন। তবে তারা বেশিক্ষণ সে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। পঞ্চম ওভারে কমিন্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ব্যক্তিগত ৫ রানে বিদায় করেন শরিফুল ইসলাম।
অধিনায়ক বালবার্নিকে নিয়ে আরও কিছুক্ষণ চালিয়ে যান ম্যাককুলাম। জুটিটা বেড়ে উঠার আভাস দিতেই অবশ্য নিভে যায়। এবাদতের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যাককুলাম। ২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা।
তৃতীয় উইকেটে বালবার্নি-টেক্টর প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন। আইরিশ অধিনায়ককে অনেকটা থিতুও মনে হচ্ছিল। প্রথম সেশনটা আর কোনো বিপর্যয় ছাড়া পার করে দেওয়ার কাছে ছিলেন তারা। তবে তাইজুল ইসলামের বলে সুইপ করতে গিয়ে বিপদটা ডেকে আনেন বালবার্নি।
ভেতরে ঢোকা বলে পায়ে লাগিয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। ভেঙে যায় ২১ রানের ছোট্ট জুটি। ৫০ বলে ১৬ করে ফেরেন বালবার্নি। ৪৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। লাঞ্চ বিরতির আগে বাকিটা সময় টেক্টরের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান ক্যাম্ফার। চতুর্থ উইকেটে ১৭ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন এই জুটি।