বিবর্তন রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে তিন দিনে ৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল এই তিন দিনে জেলার চান্দিনা, দাউদকান্দি, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় এই আট শিশু মারা যায়।
এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল জেলার চান্দিনায় দুইটি, দাউদকান্দিতে দুইটি, ২৬ এপ্রিল বুড়িচংয়ে একটি এবং ২৭ এপ্রিল দেবিদ্বারে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া আট শিশুর মধ্যে সাতজনের বয়স ৮ বছরের কম।
এদিকে বর্ষা শুরুর আগেই হঠাৎ পানিতে ডুবে এত শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) কুমিল্লার দেবিদ্বারে চার ঘন্টার ব্যবধানে তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। মৃত শিশুরা হচ্ছে- দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিজলীপাঞ্জার গ্রামের রঙমিস্ত্রি অলিউল্লাহর মেয়ে মোসা. রাইসা আক্তার (৭)। বড় আলমপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন সোহাগের ছেলে আঠারো মাস বয়সী শিশু সালমান এবং গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের ইমান্দি ভূইয়া বাড়ির ইউনুস ভূঁইয়ার মেয়ে হাফসা (৫)। এ তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান।
এর আগের দিন ২৬ এপ্রিল কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পুকুরে সাঁতার শিখতে নেমে পানিতে ডুবে মোহাম্মদ হৃদয় হাসান নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। একই দিন বিকেলে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নস্থ কিংবাজেহুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত হৃদয় হাসান ওই গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। পরে রাতেই তাকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগের দিন ২৫ এপ্রিল কুমিল্লার চান্দিনা ও দাউদকান্দিতে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়। ওই দিন সকালে দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের বরকোটা এবং দুপুরে চান্দিনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
চান্দিনায় মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে- উপজেলার তুলাতলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্টুর মেয়ে নাদিয়া (৭) ও এই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া (৮)। সম্পর্কে তারা দুজন খালা ও বোনের মেয়ে হয়। অপরদিকে দাউদকান্দিতে মারা যাওয়া দুই শিশু হচ্ছে- উপজেলার বরকোটা গ্রামের মো. নজরুল এর ছেলে ফয়সাল (৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (৭)।