বিবর্তন রিপোর্ট :
সাত দফা দাবিতে উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণার পর এবার উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আবু তাহের।
গত কয়েকদিন ধরেই সাত দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। চলমান আন্দোলনের মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এ সময় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁদের কার্যালয়ে তালা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা।
শিক্ষকদের ৭ দফা দাবিগুলো হলো—উপাচার্যের উপস্থিতিতে শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচার, প্রক্টরের অপসারণ, ঢাকার গেস্টহাউস অবমুক্তকরণ, অধ্যাপকদের পদোন্নতি, আইন মোতাবেক বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিতকরণ এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা
বিভিন্ন দাবিতে গত বছরের জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন শিক্ষক তাঁদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। সর্বশেষ গত বুধবার সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছ।
রোববারও শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা উপাচার্যের কার্যালয়ে লাগানো তালা ভাঙতে আসেন। একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করা আন্দোলনকারী শিক্ষক সমিতির নেতারা তাঁকে বাঁধা দেন। উপাচার্যকে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান শিক্ষক সমিতি ও উপাচর্যপন্থী শিক্ষক ও শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এতদিন তিনজনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে আসছিলাম৷ আজকে তো আমাদের গায়ে হাত দিয়েই প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য প্রবেশ করেছেন। এতদিন সাত দফা দাবি ছিল। এখন আমাদের দাবি একটাই। এই উপাচার্যকে আমরা আর চাই না।’
এ বিষয়ে উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘শিক্ষকরা বেআইনিভাবে আমাকে বাধা দিয়েছে। আমাকে আঘাত করেছে। আমি চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান। কিন্তু তারা (আন্দোলনকারী শিক্ষক) যা করছেন, তা মোটেও ঠিক নয়।’