বিবর্তন রিপোর্ট :
চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশি ভোটার উপস্থিতি আশা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহন করার বিষয়ে আইনে বলা নেই। যিনি প্রাপ্ত বয়স্ক, যিনি ভোটে অংশগ্রহনে যোগ্যতাসম্পন্ন তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা জেনেছি অনেকের আত্মীয় স্বজন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তাতে কোন সমস্যা দেখি না।তবে দুএকটি সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। এতে বড় ধরণের সংকট বা বিপত্তি দেখা দিলে আমরা সেখানে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত সহ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে ইসি আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে মন্ত্রী–এমপিদের প্রভাব প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো অভিযোগ পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়ম হলে ভোট বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ইসি আনিছুর রহমান কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনেন। এরপর তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
ছবি:কুমিল্লায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ইসি আনিছুর রহমান।