বিবর্তন রিপোর্ট:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার অন্যতম আসামি সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আজ বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তবে জামিনে মুক্তি পাননি মামলার ১ নম্বর আসামি অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক ওরফে আম্মান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, আদালতের কাগজপত্র পেয়ে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জামিন দেওয়া হয়।
সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম কালবেলাকে বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার জন্য দ্বীন ইসলাম দায়ী, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। এছাড়াও তার সাথে আরো যে ১৪ জন অভিযুক্ত তাদেরকে জিজ্ঞাবাদ করা হয়নি, তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি, পুলিশ রিপোর্ট দেওয়া হয়নি, তার মধ্যে সে (দ্বীন ইসলাম) কীভাবে জামিন পায়?
উল্লেখ্য যে, গত ১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কুমিল্লা নগরের দমকল পুকুরের উত্তরপাড়ে অবস্থিত অরণি বাসার দ্বিতীয় তলায় ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৬ মার্চ রাতে অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক ওরফে আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এই মামলায় তাঁদের ১৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। ১৮ মার্চ আদালতে তাঁদের হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ছবি:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।