বিবর্তন রিপোর্ট :
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন। অনিয়মের অভিযোগ এনে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার এক চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় তিনি পুনঃনির্বাচন দাবি করেন। মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।ওই প্রার্থীর নাম জাকির হোসেন। তিনি বর্তমান মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এ সময় জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া হয়নি। আগের রাতে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে এবং ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য তিনি এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া এই উপজেলায় পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানান এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে আদালতে রিট পিটিশন করবেন বলে জানান ওই প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমি শহীদ মুক্তিযোদ্বার সন্তান। ২০০১ সাল থেকে এ দলের জন্য অনেক কাটাছেঁড়ার আঘাত নিয়েছি। বিগত ১০ বছরে অর্থ -শ্রম দিয়ে আমি মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে নির্বাচনে জিতিয়েছি। আজ একটি চক্রান্তকারীদলের নেতৃত্বদান কারী যার নাম কামাল হোসেন। সারা দেশের স্থানীয় সরকারের সকল টেন্ডারবাজী করে যাচ্ছে সেই কামাল। এ চক্রান্তকারীর কারী গোষ্ঠীর কারনেএক সময় হয়তো দেশ ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হবে।ভোটার বিহীন, আমার এজেন্ট বিহীন এ ভোট আমি মানি না। তিনি এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করবো। এ নির্বাচন বাতিল করতে হবে।উল্লেখ্য, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।এদিকে, একই সাথে ভোটকেন্দ্রের অনিয়মের অভিযোগ এনে মহিলা ভাইসচেয়ার প্রার্থী বিলকিস আক্তার ভোট বর্জন করেন।জানাযায়, ৮০ টি কেন্দ্র অনুষ্ঠিত মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৭২ টি। দুপুর ১২ পর্যন্ত মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটের শতকরা ১০ ভাগ ভোট প্রদান করেছেন বলে জানান সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনির হোসেন খান।