বিবর্তন রিপোর্ট :
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে কুমিল্লায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে কুমিল্লা জেলার ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটেছে। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ ধাপে মোট এক হাজার ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১, ভাইস চেয়ারম্যান ৮ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ১১, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ করে অর্থাৎ মোট ২৭জন প্রার্থী এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার রাতে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হলেন লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. ইউনুছ ভূঁইয়া আনারস প্রতীক নিয়ে ৮১ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকাশ চন্দ্র সাহা দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ৩৪৪ ভোট পেয়েছেন। লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী তালা প্রতীক নিয়ে ৮৯ হাজার ৬৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ২০৭ পেয়েছেন। লাকসাম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পড়শী সাহা পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ৮৪ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিতা সাহা প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়েছেন। মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আবদুল মান্নান চৌধুরী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৭৭ হাজার ১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাকির হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়েছেন। মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমিরুল ইসলাম তালা প্রতীক নিয়ে ৮৮ হাজার ১৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিরুজ্জামান টাইপ রাইটার প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৭০০ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ৯১ হাজার ৩১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিলকিস আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ৭৭২ পেয়েছেন।