বরুড়া প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আড্ডা ইউনিয়নের ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে স্কুলের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করি। গত বছর স্কুল টা এমপিওভুক্ত হয়।এতে প্রধান শিক্ষকের গ্রেড টা ৮তম থেকে ৭তম গ্রেডে চলে আসে। এমপিও হওয়ার পর কিছু শিক্ষকের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে, তারা তাদের কাগজপত্র নিয়ে আসলে আমি স্বাক্ষর দিয়ে দেই। হঠাৎ গত বছর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে ফোন দিয়ে বলে, আপনার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গ্রেড পরিবর্তন হওয়ার কাগজ গুলাতে আপনার স্বাক্ষর আছে।এই বিষয়ে আপনি জানেন কিনা।তখন আমি অবাক হয়ে বললাম প্রধান শিক্ষক এই বিষয়ে আমার কাছে আসে নাই।আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা।
তারপর আমি স্কুলের ওয়েবসাইটে ডুকে সকল কাগজপত্র গুলো প্রিন্ট দিয়ে দেখি ওনার পদোন্নতির কাগজ সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজে আমার স্বাক্ষর দেওয়া আছে। বিষয় টা আমার থেকে অনেক খারাপ লেগেছে।আমি তো কখনোই প্রধান শিক্ষককে নিষেধ করিনাই আমি স্বাক্ষর করবো না।ওনি কেনো এই কাজ করলো।পরে আমি স্কুলের সাথে জড়িত ৩ জনকে দায়িত্ব দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করি বিষয় টা আরো খতিয়ে দেখার জন্য। তদন্তে প্রধান শিক্ষক নিজেই ওনার অপরাধ শিকার করেন। এই বিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল তারিখে প্রধান শিক্ষকের নিকট আমি চিঠি পাঠাই। চিঠিতে উল্লেখ ছিলো, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে আমি কেনো আইননুসারে ব্যবস্থা নিবো না।চিঠিতে এটাও উল্লেখ ছিলো ১২ কর্মদিবসে আমার চিঠির উওর দিতে। কিন্তু জামাল সাহেব (প্রধান শিক্ষক) ১৮ দিন গেলেও আমার চিঠির কোন উওর দিচ্চে না। পরিশেষে আমি বাধ্য হয়ে ১৪ মে তারিখে স্কুলের অফিস কক্ষে মিটিং ডেকে প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন কে সাময়িক বরখাস্ত করি।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ইলিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী কে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন, আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে সভাপতি সাহেব স্বাক্ষর দিচ্চে না। কাগজপত্র গুলো জমা দেওয়ার সময় শেষের দিকে থাকায় আমি বাধ্য হয়ে নিজেই সভাপতির স্বাক্ষর দিয়ে কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হয়েছে। আমার ভুল হয়েছে এটা।আমি এই বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছি।
এই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা বলেন, আমরা ভাতেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অভিযোগের একটি চিঠি পেয়েছি। সভাপতির স্বাক্ষর জাল করায় ওনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।