ছবি:সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেয়া ছবিতে রিয়াদ সিটি গোল্ড এন্ড কসমেটিকস্ এর স্বত্বাধিকারী অভিযুক্ত ইয়াদ আলী।
বিবর্তন রিপোর্ট।।
কুমিল্লা নগরীর ছাতিপট্টি এলাকার স্বর্ণপট্টিতে শনিবার( ১জুন) দুপুরে এ স্বর্ণব্যবসায়ী তার দোকানে আসা ক্রেতাদের অলংকার দেখানোর কথা বলে পাশ্ববর্তী কয়েকটি স্বর্ণদোকান থেকে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার(২ জুন)বিষয়টি সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অভিযোগকারী ও স্থানীয় দোকানদাররা জানান, শনিবার দুপুরে নগরীর ছাতিপট্টি এলাকার বিপাশা শিল্পালয়, ফারুক জুয়েলার্স, কুমিল্লা জুয়েলারি ও অপর্ণা শিল্পালয়সহ চারটি দোকান থেকে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। কুমিল্লায় দীর্ঘদিন ধরে গোল্ড প্লেটেড অলংকারের ব্যবসা করা ইয়াদ আলী। ইয়াদ ছাতিপট্টি এলাকায় রিয়াদ সিটি গোল্ড এন্ড কসমেটিকস্ নামে দোকানের স্বত্বাধিকারী।
নগরীর ছাতিপট্টির এক স্বর্ণ দোকানদার অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা নগরীর ছাতিপট্টি এলাকায় ইমিটেশন গয়নার ব্যবসা করছেন ইয়াদ আলী ও তার ভাই আকরাম হোসেন। শনিবার দুপুরে ইয়াদ তার দোকানে আসা ক্রেতাদের অলংকার দেখানোর কথা বলে ছাতিপট্টি এলাকার বিপাশা শিল্পালয়, ফারুক জুয়েলার্স, কুমিল্লা জুয়েলারি ও অপর্ণা শিল্পালয় থেকে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণ তার দোকানে নিয়ে যান। পরে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান থেকে নেয়া স্বর্ণালংকার ফেরত দেননি তিনি। পরে রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিপাশা শিল্পালয়ের ম্যানেজার প্রসনজিৎ বণিক বলেন, ‘ইয়াদ এসে বলেন, তার দোকানে ক্রেতা এসেছে। ক্রেতারা যে সব মডেলের অলংকার চাচ্ছে সেগুলো তার দোকানে নেই। তাই সে আমাদের দোকানে এসে বিভিন্ন ডিজাইনের অন্তত ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ক্রেতাদের দেখানোর কথা বলে নিয়ে যায়। বিকেল ৪টায় গিয়ে দেখা যায় তার দোকান বন্ধ। রাতেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা চার দোকানদার ভিন্ন ভিন্ন ভাব কোতয়ালী থানায় অভিযুক্ত ইয়াদ আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির কুমিল্লা জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ জামান বলেন, ‘আমরা সমিতির পক্ষ থেকে খোঁজ খবর রাখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করব এ প্রতারককে দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করতে।’
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছি। ইয়াদ নামে এক যুবক বিভিন্ন দোকান থেকে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণ ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ইয়াদ আলীর বাড়ি পাবনা। আমরা তদন্ত করছি।’