সৌরভ লোধঃ
কুমিল্লার বরুড়ায় পয়েলগাছা ইউনিয়নের আবদুর রহমান (৪), ও তার ছোট বোন খাদিজা আকতার (২)
নামে দুই শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সকালে কাঁঠাল ও রুটি দিয়ে নাস্তা করে, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর শিশুদের বমি শুরু হয়। অতিরিক্ত বমি দেখে দ্রুত দুইজনকে দুই হাসপাতালে পাটালে ডাক্তাররা তাদের মৃত ঘোষণা দেন।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়,বরুড়া উপজেলার পয়েলগাছা ইউনিয়নের হাটপুকুরিয়া গ্রামের দিঘীরপাড় নামক স্থানের নেছার আহমেদের সন্তান এই দুইজন।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে কাঁঠাল ও রুটি দিয়ে নাস্তা করে, দুপুরে ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার পর বিছানায় ঘুমাতে যায়।কিছুক্ষণ পরই দুই শিশুর একই সাথে বমি শুরু হয়। বিষয়টা অস্বাভাবিক দেখে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের বাবা মেয়ে শিশুটিকে পাশ্ববর্তী এলাকা শাহরাস্তি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়ে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।
অন্যদিকে অসুস্থ ছেলে শিশুটিকে শাহরাস্তি থেকে কুমিল্লায় নিয়ে যেতে বলে। দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে ছেলে শিশুটিকেও।
নিহত শিশুদের চাচা শফিক কালবেলাকে বলেন, নেছার আহমেদের স্ত্রী শাহাজাদী তার দুই সন্তানকে নিয়ে সন্তানদের চাচিসহ সকালে কাঁঠাল ও রুটি দিয়ে নাস্তা করে।তারপর দুপুরে মাসকলাই ডাল দিয়ে ভাত খায়। মা শাহজাদী একই খাবার তার ২ সন্তানদেরকেও খাওয়ায়।খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছেলে ও মেয়ে দু’জনেই বমি করতে করতে তাদের শরীর ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পরে। তখন দ্রুত বাচ্চাদের হসপিটালে পাটানো হয়।তবে দুইজনের কেউই আর জীবিত আসেনাই।
এলাকার লোকমুখে গুঞ্জন রয়েছে শিশুদের বমি খেয়ে বাড়ির পালিত নয়টা মুরগী সাথে সাথেই মারা যায়।
তবে বিষয় টা গুজব দাবি করে নিহতদের বাবা নেছার আহমেদ কালবেলাকে বলেন,
এটা কে বা কারা ফেসবুকে দিয়েছে জানিনা। আমাদের এইদিকে মুরগীর রোগ শুরু হয়েছে, রোগে মুরগী মারা যাচ্ছে,বাচ্চাদের বমি খেয়ে মুরগী মারা যায়নি। আমার বাচ্চাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সকালে কাঁঠাল,তারপরে তালের শাঁস,এর কিছুক্ষন পরই ভাত খেয়ে হয়তো সহ্য করতে পারেনি।
এই বিষয়ে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন,দুই শিশুর মৃত্যুর সংবাদটি আমরা শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে জানতে পারি।মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহ দুটিকে আজ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর মৃত মুরগী গুলাতে বিষক্রিয়া কিছু আছে কিনা জানার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এখন পরিবারের কেউই কোন অভিযোগ দিতে রাজি হোন নাই। তাই রিপোর্টে বিষ খেয়ে মৃত্যু এমন কিছু আসলে তারা মামলা না করলেও আমরা বাদী হয়ে মামলা করবো।