সৌরভ লোধ ||
কুমিল্লার বরুড়ায় সন্ধ্যা রাতে এক হিন্দু বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাত দল ডাকাতির চেষ্টা চালায়। তারা ঘরে ডুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে ঘরের সবাই কে।এসময় ঘরে থাকা মহিলাদের চিৎকারে ডাকাত’রা পালিয়ে যায়। তার আগে ডাকাতদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রে আহত হয় পরিবারের ৫ সদস্য।
শনিবার (১৭ আগষ্ট) রাত ৭ টায় উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের সুকুমার শীলের বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী সুকুমার শীল বলেন,আমরা সবাই বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিলাম। ঘরে পুরুষ শুধু আমি বাকী ৪ জন মহিলা ছিলো। আমার ৩ ছেলে বিদেশ থাকে। একজন দেশে আসছে কিছুদিন আগে। সে ঐ সময় বাড়িতে ছিলো না। তখন আনুমানিক সময় রাত ৭ টা বাজে।মুখোশধারী ৮/৯ জন লোক হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের কেচি গেইট ধাক্কা দিয়ে ভিতরে চলে আসে। আমরা কিছু বুঝার আগেই তারা অস্ত্র দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। ৪ থেকে ৫ জন কিছু বলার আগেই আমাকে সহ আমার স্ত্রী আমার মেয়ে ও দুই ছেলের বউকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আর বাকী ২/৩ জন আমাদের রুমে ডুকে যায়।আমি জীবনের চিন্তা না করে চিৎকার দিতে থাকি। তখন সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।প্রায় ১০ মিনিট অবস্থান নেয় ডাকাতরা। পরে আমরা উপজেলার দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টিন,ও বরুড়ার পুলিশ কে ফোন করে বিষয় টা জানালে তারা সাথে সাথে চলে আসে।
এই বিষয়ে সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ তাজ মাহবুব বলেন, আমরা খবর পেয়েই ছুটে আসি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ এখন একসাথে কাজ করছি। সবাইকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আপনারা কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমরা এইদিকে আমাদের টহল বাড়িয়ে দিচ্ছি।আশা করছি এইদিকে এমন আর ঘটনা ঘটবে না।
এই বিষয়ে বরুড়ার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি ফোন পেয়েই আমাদের ফোর্স নিয়ে চলে আসি ঘটনাস্থলে। ঘরের আসবাবপত্র বা প্রয়োজনীয় কিছু নিতে পারেনি। আমরা ভুক্তভোগীদের থেকে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছি। পরবর্তীতে আমরা আমাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।