সৌরভ লোধ ||
চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। পানিবন্দি হয়ে সন্তান নিয়ে ঘরেই ছিলেন রহিমা বেগম। ঘরে নেই খাবার, হঠাৎ বরুড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হলেন। দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান রহিমা বেগম।
এভাবে কেবল রহিমা বেগম নয় গত শুক্রবার থেকে দিনভর বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমন অসংখ্য পানিবন্দিদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং । ফলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক বন্যায় বিপর্যস্ত কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যাকবলিত প্রত্যেকের বাড়িতে হাঁটু পানিতে নেমে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন তিনি।
গত শুক্রবার (২৩আগষ্ট) থেকে শুরু করেন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম। প্রথমে বরুড়া উপজেলার ভাউকসার, গালিমপুর, আদ্রা ও পৌরসভার একটি অংশ পানিবন্দি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিরতন করা হয়।তারপর একেকদিন একেক ইউনিয়নে গিয়ে পানিবন্দি প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিরতন করেছেন।
প্রতি বস্তায় ১২ কেজি সমপরিমাণে খাবার ছিলো।খাবারের তালিকায় ছিলো বিস্কুট, চাল, ডাল,সয়াবিন তেল, চিড়া, লবন,কয়েল,পানি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।
বরুড়ার আদ্রা ইউনিয়ণের সালেহ উদ্দিন বলেন, হাঁটু পানি, কোমর পানি পার হয়ে ইউএনও স্যার আমাদের খাবার দিয়ে গেছেন। আমরা অনেক খুশি হয়েছি। ওনাকে আমাদের পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
পানিবন্দি ফাতেমা বেগম বলেন, বরুড়ার ইউএনও আমাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছে। খুব কষ্টে দিন কাটছিল। ত্রাণ পেয়ে ভালো লাগছে।
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং বলেন, উপজেলা প্রশাসন সব সময় মানুষের সেবায় কাজ করে। আমি বরুড়ার যত আশ্রয়কেন্দ্র আছে প্রায় সব গুলাতেই গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে পেরেছি। উপজেলা প্রশাসন সহ যে সংগঠনগুলো ত্রাণ দিতে চাচ্ছে তাদের সাথে আমরা সমন্বয় করে এই খাদ্য সামগ্রী গুলো বিতরণ করছি।যাতে করে কোন পরিবার দুইবার পেলো আবার কোন পরিবার একবারও পেলো না এমন না হয়। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে। আমি অনুরোধ করব সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।