সৌরভ লোধ ||
কুমিল্লার বরুড়ায় শুরু হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। যার ফলে এই তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত সব সময়ে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এ মহড়া। প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকে বিদ্যুৎ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বরুড়ার লক্ষীপুর ইউনিয়ন, পয়েলগাছা ইউনিয়ন,আদ্রা ইউনিয়ন, ঝলম ইউনিয়ন সহ আরো কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, গত ৪/৫ দিন থেকে গরমের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি সারাদিনে রাতে ৬ থেকে ৭ ঘন্টাও থাকছে না বিদ্যুৎ। প্রতি দেড় ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসে আর থাকে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট।
তবে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ অর্ধেকও বরাদ্দ পাচ্ছেন না বলে এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়েছে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পয়েলগাছা সাব জোনাল অফিস।
আদ্রা এলাকার জুলহাস উদ্দিন বলেন, সারাদিন অফিসে কাজ করে রাতে ঘুমানোর সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে তীব্র গরমে ঘুম আসে না। যার ফলে পরদিন অফিসে গিয়ে কাজে মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। এ ছাড়াও আমার বাসায় ছোট বাচ্চা গরমে সারারাত ঘুমাতে পারে না। দ্রুত এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।
লক্ষীপুর এলাকার সোহেল আহম্মেদ বলেন, আমার ওয়ার্কশপের ব্যবসা। বিদ্যুৎ না থাকলে আমার ব্যবসা বন্ধ। কর্মচারীদের বেতন দিতে হয় সঠিক সময়ে কিন্তু লোডশেডিং এর কারনে সময় মত অর্ডারি জিনিস ডেলিভারি দিতে পারছি না।
এই বিষয়ে পয়েলগাছা সাব জোনাল অফিসের এজিএম জাহিদুল হাসান বলেন,আমরা কখনো চাইনা আমাদের গ্রাহক লোডশেডিং এর কষ্ট ভোগ করুক।আমাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছিনা। আমাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত চাহিদা থাকে ৯.১ মেগাওয়াট, কিন্তু আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৪.৫ মেগাওয়াট। আজ সকাল পর্যন্ত চাহিদা ৯ মেগাওয়াট, কিন্তু বরাদ্দ দিচ্ছে ৪.৫ মেগাওয়াট। আমরা বরাদ্দকৃত মেগাওয়াট কে ভাগ করে চালাতে হয়। আমরাও চাই গ্রাহক সেবা শতভাগ দিতে।