সৌরভ লোধ ||
কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার মধ্য রাতে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে ডাকাত আতঙ্ক। ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম উপজেলার সকল বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১:৩০ মিনিট থেকে এই আতঙ্কের সূত্রপাত হয়৷
সরেজমিন ঘুরে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আড্ডা ইউনিয়ন,আদ্রা,লক্ষীপুর সহ প্রায় ইউনিয়নেই মসজিদের মাইকে বলা হচ্ছিলো এলাকায় ডাকাত এসেছে,সবাই যেনো সর্তকে থাকে।
স্থানীয়রা অনেকেই বলছে ডাকাত আতঙ্কের সূত্রপাত কচুয়া উপজেলা থেকে। কচুয়া উপজেলার সকল মসজিদে ডাকাত এসেছে ঘোষণা আসলে, পাশ্ববর্তী শাহরাস্তি ও বরুড়া উপজেলায় এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত দেড়টার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মসজিদের মাইকে সবাইকে সর্তক করার জন্য মাইকিং করা হয়।রাস্তায় রাস্তায় রিক্সা নিয়েও মাইকের মাধ্যমে করা হয় প্রচারণা।
আদ্রা গ্রামের আবুল বাসার বলেন, আমরা মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে শুনে রাস্তায় অবস্থান করেছি। প্রায় ২ ঘন্টা রাস্তায় ছিলাম।
লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা মাইকে ও ফেসবুক দেখে সবাই বাড়ির আশেপাশে লাঠিসোঁটা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। পরে মনে হলো বিষয়টি গুজব।
এই বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হালিম বলেন, কচুয়ায় কোথাও কোন ডাকাতির ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায় নাই। তবে শীতকালে সবাই সতর্ক থাকবেন। এলাকায় নিজেরা পাহারার ব্যবস্থা করতে পারেন।
শাহরাস্তির মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার বলেন, ডাকাতি হয়েছে এমন কোন ফোন পাইনি। তবে মাইকিং হয়েছে শুনেছি।সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে টহলে বের হয়েছি। সবাই সর্তকে থাকবেন,তবে কেউ না জেনে আতঙ্ক ছড়াবেন না।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক বলেন, বরুড়ায় কোন ডাকাতির খবর আমরা পাইনি। পাশের উপজেলায় মাইকিং হওয়াতে বরুড়ার কয়েক ইউনিয়নে মাইকিং করেছে সর্তক থাকার জন্য।