
সৌরভ লোধ ||
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের বেওলাইন গ্রামে আধা কিলোমিটার সলিং রাস্তার বেহাল অবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তার পাশে বিশাল দিঘী থাকার পরও দীঘির পাড়ে ওয়াল নির্মাণ না করে রাস্তার কাজ শেষ করায় প্রতি বছরেই ভাঙছে এই রাস্তাটি।
জানা যায়, বেওলাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পূর্বদিকে বেওলাইন সার্বজনীন মন্দির পর্যন্ত ইটের সলিংয়ের রাস্তাটি ভেঙ্গে অকেজো হয়ে পড়েছে।
এতে ফেনুয়া, চেংগাচাল, নোয়া পুকুরপাড় সহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ চরমে। ইটের সলিং করা এই রাস্তাটি প্রায় ৩ বছর আগে আওয়ামীলীগ এমপি নাছিমুল আলম নজরুল তার বিশেষ বরাদ্দে করে দেয়। কিন্তু রাস্তার পাশে বিশাল দীঘি থাকায় প্রতি বছর বছর এই রাস্তার পাড় ভেঙ্গে চলে যায় দিঘিতে। তারপর অতিবৃষ্টি ও বন্যায় বর্তমানে নানা খানাখন্দে পরিণত হয়েছে এই রাস্তাটির। ইটগুলো উঠে গিয়ে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা যাতায়াতের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। তিন চাক্কার গাড়ি গুলাও এই রাস্তা দিয়ে আসেনা ভয়ে। কিন্তু এই সড়ক দিয়ে একটু সামনে গেলেই হিন্দু ধর্মালম্বীদের রাধাকৃষ্ণ মন্দির।যেখানে প্রতিবছর কীর্তনে হাজার হাজার ভক্ত আসে। তার একটু সামনে গেলেই মাদ্রাসা ও মসজিদ।

গ্রামের বিনয়ভূষন তালুকদার বলেন, রাস্তাটির পাশে বিশাল দীঘি।প্রতিবছর দীঘির পেটে চলে যায় অর্ধেক রাস্তা। আমরা গ্রামবাসীরা রাস্তার পাশে বেড়া দিয়ে, মাটি ফেলে অনেক ভাবেই ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না। ফেনুয়া, চেংগাচাল, নোয়া পুকুরপাড় সহ কয়েকটি গ্রামের প্রধান রাস্তা এটি। কোন অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতী রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডুকানোর মত সাধ্য নেই এই রাস্তা দিয়ে।সরকার আমাদের দিকে একটু নজর দিলে মাত্র আধা কিলো রাস্তা সংস্কার ও দীঘির পাড়ে দেয়াল নির্মাণ করে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

অটোরিকশার চালক মো. মনির শেখ বলেন, ‘এই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ইট উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অনেক ঝাঁকুনি হয়। যাত্রীরা যেতে চায় না, অনেক কষ্ট হয় আমাদের গাড়ি চালাতে।
বেওলাইন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের স্কুলে ৮০% ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে এই পথ দিয়ে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে হয়। গত কিছু মাস আগে এই পথ দিয়ে আসার সময় এক শিক্ষার্থীর পা ভেঙ্গে যায়। আমরাও চাই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।