Oplus_131072
সৌরভ লোধ ||
বরযাত্রার প্রস্তুতি চলছিল পুরোদমে। রওনা হলেন কণের বাড়ির উদ্দেশ্যে। ছেলেকে গাড়িতে উঠিয়ে মা পথ চেয়ে বসে ছিলেন ছেলে এবার পুত্রবধূকে নিয়ে ঘরে ফিরবে। সাজানো গাড়ির বহর, আনন্দের আমেজ, আবেগঘন বিদায় সবই ছিল। কিন্তু কে জানতো, পুত্রবধূ নয়, মায়ের কোলে নিথর দেহ হয়েই ফিরবেন ছেলে।
(৩১ জুলাই) বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বরের নাম অমিত সরকার। তিনি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের প্রবাসী দিলীপ সরকারের ছেলে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভিংরাব গ্ৰামে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহত অমিত সরকার একজন প্রবাসী। তিনি কিছুদিন আগে বিয়ে করার উদ্দেশে বাংলাদেশে আসেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ভিংরাব গ্ৰামে তার বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। রাত ৯টার দিকে বরযাত্রী রওনা হয়। ১০টার দিকে গৌরীপুর এলাকায় গেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা উঠে অমিতের। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। স্বজন বাসিন্দারা তাকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। রাত ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, নিহত অমিত সরকারের ছোট ভাই আশিক সরকার বছর তিনেক আগে ঘুমের মধ্যে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। দুই ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে আছেন বাবা-মা।
প্রতিবেশী গুরুপদ সরকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বরযাত্রীর গাড়ি বহরে আমিও ছিলাম। বরের গাড়ি অতিক্রম করে আমরা সামনে চলে যাই, কিছুক্ষণ পর বরের প্রাইভেটকার চালক আমাদের গাড়ি চালককে ফোন করে বলেন গাড়ি ঘুড়িয়ে গৌরিপুর আসেন, বর অসুস্থ। প্রথমে গৌরিপুর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানালেন সে আর জীবিত নেই। আমাদের আর বিয়েতে যাওয়া হয়নি।
চান্দিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, এমন একটি খবর ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
