ছবি: নগরীর নজরুল এভিনিউ এক্সপোর্ট গ্যালারীতে পছন্দ করছেন কাস্টমার।
বিবর্তন রিপোর্ট :
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। আর স্বল্প আয়ের মানুষের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে তুলনামূলক অল্প দামে পছন্দের পোশাক,জুতা,স্যান্ডেল,অন্য প্রসাধনীসহ পছন্দের পণ্য কিনতে তারা এখন ভিড় করছেন ফুটপাত ও খোলা জায়গায় বসানো অস্থায়ী দোকানগুলোতে।
সোমবার(১ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড়, টাউন হল গেইট, নিউ মার্কেট,রাজগঞ্জ,চকবাজার গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে রাস্তার পাশে ফুটপাতে প্রচুর দোকান খোলা হয়েছে। নগরের টাউন হলের দুই পাশে অস্থায়ী রাস্তার ওপরই এ সব দোকান গড়ে উঠেছে।
কুমিল্লা নজরুল এ্যভিনিউ র এস আর এস এক্সপোর্ট গ্যালারীর স্বত্বাধিকারী সোহান মাহমুদ সুজন জানান, ঈদে দোকানে শিশুদের এক্সপোর্টের পোশাক সহ সকল বয়সী কাস্টমারদের পোশাক নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করা হয়। এবার ঈদে আমাদের চমক রয়েছে, তা হলো পুরুষদের পলো টি শার্ট অন্য যেকোন সময়ে ১ পিস ২৫০/ মূল্যে বিক্রয় করা হতো এবার সেই টিশার্ট দুটো একসাথে ২০০/ দামে কাস্টমার পাচ্ছে। দোকানটিতে এক্সপোর্টের সকল বয়সী পুরুষ-মহিলার সব ধরণের পোশাকে ডিসকাউন্ট করা হয়েছে।যা ঈদের আহের দিন পর্যন্ত চলবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন,নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন।
কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তাই ক্রেতাদের কোনো না কোনো জিনিস পছন্দ হচ্ছে আর কিনেও নিচ্ছেন।
মেয়েদের পোশাক, শিশুদের পোশাক, প্রসাধনী, পুরুষদের পোশাক যেমন- জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ট্রাউজার, জুতা, বেল্ট, ক্যাপ, লুঙ্গি, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা।সেখানকার বেশিরভাগ গ্রাহকরা বলেছেন, তারা ফুটপাতের স্টলে কেনাকাটা করছেন। কারণ শপিংমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি।
নগরীর ২য় মুরাদপুর এলাকার রিকশা চালক সেলিম হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, টাউন হল থেকে ফুটপাতের দোকান থেকে লুঙ্গি ও জুতা কিনছেন। তিনি বলেন, এবার ইদে প্রতিটা জিনিসের দাম একটু বেশি। তারপরও মার্কেটের তুলনায় এখানে জিনিসের দাম অনেক কম।
কুমিল্লা নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়,অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ কাঠের টেবিল বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন।
ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা মামুন মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও এখন বেশ বেড়েছে। ঈদের জন্য কালেকশন বাড়িয়েছে।
নারীদের পোশাক নিয়ে বসা রইছ উদ্দিন বলেন, আমাদের তো এ সময়টাতেই একটু আয় বেশি হয়। কিন্তু পুলিশ বললে আবার উঠতে হয়। বেচাকেনা অবশ্য খারাপ না।
কোন পোশাকের দাম কত বিভিন্ন ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে শিশুদের জন্য ডেনিম (জিন্স) প্যাএন্ট ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, অন্য প্যান্ট ৩০ থেকে ৬০, প্যান্ট ও গেঞ্জির সেট ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শিশুদের ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ওয়ান পিস ১৫০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
মেয়েদের থ্রি-পিস ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টপস ও ওয়ান পিস ২৫০ থেকে ৩৫০, পার্টি ড্রেস ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০, স্যান্ডেল ও জুতা ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।