বিবর্তন ডেস্ক: পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বলেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের পরিকল্পনা আমরা করছি। এতে করে ঢাকা থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে যাওয়া যাবে। যার ফলে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ১০ লেনে উন্নীত করা হবে। এর কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়া, মহাসড়কে কোথায়ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। তিন চাকার গাড়ি সড়কে উঠলে জরিমানা করবে পুলিশ।
২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত ঈদ যাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক সচিব বলেন, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে টোল আদায় করলে, আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে উঠলেই আটক করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ডাম্পিং স্টেশনে। যেখানে ফিটনেসবিহীন গাড়িটি আটক হবে, সেখানেই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হবে। যাত্রীদের এই ভোগান্তির জন্য পরিবহন মালিককে জরিমানা করা হবে।
এছাড়াও, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এ রোডের ভাড়া কামানো হয়েছে। কেউ যাতে বাড়তি ভাড়া না নেয়। প্রতি কিলোমিটার ২.৪২ টাকা হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২৪ ঘণ্টা সিএনজি, পুলিশ স্টেশন খোলা থাকবে। এছাড়াও, মহাসড়কে আন্ডারপাস করার কাজ শুরু করার পরিকল্পনাও আমরা করছি। পর্যাপ্ত আন্ডারপাস থাকবে এবার।
এ সময় তিনি সড়কে পথে পথে টোল প্লাজায় ভোগান্তি কমানোর জন্য পরিবহন মালিকদের ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) পদ্ধতি ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
এই সভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৭৫ কিলোমিটারে ৬ জেলার মানুষদের ঈদ যাত্রা নিরাপদ করার জন্য বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, কুমিল্লা সড়ক ও জনপদের প্রধান প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম খন্দকার আশফাকুজ্জামান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলমসহ সড়ক বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়াও, সভায় বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ জেলার বিভিন্ন দফতর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেলা প্রধানগণ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।