বিবর্তন রিপোর্ট :
আর একদিন পর বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। বুধবার চাঁনরাত পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর মার্কেট, দেশিয় ফ্যাশন হাউজ, শপিংমল ও দোকানপাটে বেচাবিক্রির মহোৎসব চলবে।
বেশির ভাগ মানুষ ঈদ উৎসবের মোটামুটি সকল অনুষঙ্গ কেনাকাটা শেষ করেছেন। কিন্তু তারপরও নগরীর শপিংমল থেকে শুরু করে পথঘাটে নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোরের বহর গিজগিজ করছে। ব্যাগভর্তি ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ঘরে ফেরার পরও ক্রেতারা ভাবছেন কী যেনো একটা কেনা হয়নি। ফের মার্কেটমুখি হচ্ছে ক্রেতারা। এভাবে ক্রেতাদের পদভারে জমজমাট থাকছে নগরীর শপিংমলগুলো।রোজা শুরু থেকে টানা ২৯ দিন লোকজন ঈদের কেনাকাটা করেছেন। শেষ সময়ে এসেও ক্রেতার ভাবনা-চিন্তা কী যেনো একটা কেনার বাকি রয়েছে। আজ থেকে নগরীর শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাটে ইচ্ছেমত কেনাকাটা করছেন লোকজন।গত রাত সাড়ে ১১টায় দেখা গেছে মানুষের ভিড়ে সরগরম দোকানপাট, রাস্তাঘাট। হাজার হাজার ক্রেতার উপস্থিতি বিক্রেতাদের উচ্ছ্বাস কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। কিচিরমিচির শোরগোলে মার্কেটগুলোতে বিরাজ করছে যেন মেলার বাড়তি আবহ। ক্রেতাদের চোখেমুখে নেই বিরক্তির ছাপ। স্বস্তিতে কেনাকাটা চলছে সবার।
কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরের সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, আনন্দ সিটি সেন্টার, সাইবা ট্রেড সেন্টার, কান্দিরপাড়ের চৌরঙ্গী সুপার মার্কেট, টাইনহল সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, রামঘাট এলাকার কুমিল্লা টাওয়ার, টপটেন, রেইসকোর্সের ইষ্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা, বাদুরতলায় ইনফিনিটি, সেলর, আর্ট, নজরুল এভিনিউগে ফড়িং, বিশ্বরঙ, আড়ং, অঞ্জনস, কেক্রাফট সহ চকবাজার, রাজগঞ্জ, কাপড়িয়াপট্টি এলাকায় বেশ আমেজের সাথেই ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। তবে কান্দিরপাড়ে ও মনোহরপুরে মার্কেট ও বাইরে মানুষ আর মানুষ।
বিক্রেতাদের এখন টার্গেট ঈদের আগের রাত, অর্থাৎ চাঁনরাত। এই রাতে যারা আগে কেনাকাটা করেছে তারা এবং যারা সময়ের অভাবে করতে পারেনি তারাও কেনাকাটায় নামবেন।
কুমিল্লা নগরীর মার্কেট, দেশিয় ফ্যাশন হাউজ, শপিংমল ও দোকানপাটে মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে মনে হচ্ছে ঈদুল ফিতরের মতো বড় উৎসবের কেনাকাটা শেষ হয়েও শেষ হয়না। কেনাকাটার পর বাড়ি ফিরে ভাবছে কী যেনো কেনা হয়নি। তারপর আবার মার্কেটমুখি হওয়া। আবার কিছু না কিছু কেনা।ফিরে সপিং করা।