বিবর্তন রিপোর্ট:
কুমিল্লার দেবিদ্বার সহ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় স্বজনদের পক্ষে কাজ করছে জনপ্রতিনিধিরা। কুমিল্লার দেবিদ্বারের স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ । তাঁর পিতা আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এবার পরিবারের রাজনৈতিক পরিধি আরো প্রসারিত করার লক্ষ্যে এমপি আজাদের ছোট ভাই মো: মামুনুর রশীদ মামুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছোট ভাই মামুনুর রশীদকে বিজয়ী করার জন্য এলাকায় অবস্থান করছেন এমপি আবুল কালাম আজাদ। প্রতিদিন বাড়িতে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের ডেকে এনে মতবিনিময় করছেন এমপি আজাদ। প্রকাশ্যে প্রচারণায় না থাকলেও ভাইকে বিজয়ী করার জন্য বিভিন্ন কৌশলে মাঠে রয়েছেন এমপি আজাদ।
১৮ মে বড়শালঘর ইউনিয়নের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুইয়া জারু এবং হাজী ইউনুস মাস্টারের নেতৃত্বে বড়শালঘর ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে এমপি আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া যায়।
একই দিন সাইতলা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম ও কটকসারের অনেক নেতাকর্মীকে এমপি আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে দেখা যায়।
মোহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এমপি আবুল কালাম আজাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদের ভাইকে বিজয়ী করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। এই ছবিটিও ফেসবুকে পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে ডাউনলোড করা দেবিদ্বারের রাজনৈতিক কর্মী নাজমুলের সাথে এমপি আজাদের একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে-“আজকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন উপলক্ষে কুটুমপুর এমপি মহোদয়ের অফিসে-৪ নং ওয়ার্ড ঊনঝুটি।”
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম শফিউদ্দিন সফি জানান, এমপি আজাদ সাহেব নেতাকর্মীদের বাড়িতে ডেকে এনে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি তার ভাইয়ের পক্ষে সবাইকে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাঁর ভাইয়ের পক্ষে কাজ না করলে আগামী ৪ বছর ৬ মাসে সবাইকে শিক্ষা দিবে, এমন হুমকি দিচ্ছেন এমপি সাহেব। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ কাজ করতে পারেন না। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়টির দিকে নজর দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মুনীর হোসাইন খান জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাননীয় সংসদ সদস্য কোন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের মধ্যে পড়ে। যদি মাননীয় সংসদ এটা করে থাকেন, তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়বে। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
এ বিষয়ে জানতে দেবিদ্বারের স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে কল করলে মুঠোফোন সংযোগে তাকে পাওয়া যায়নি।