সৌরভ লোধ।।
কুমিল্লার বরুড়ায় মাদ্রাসা থেকে বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি আসার পথে খাদিজা বেগম (২২) নামের এক মহিলাকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার আড্ডা ইউনিয়নের বেওলাইন গ্রামে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই ঘটনার পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর)বরুড়া থানায় এই ঘটনার সাথে জড়িত একই গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মো:মানিক(৩৩), দুলাল মিয়ার ছেলে মো: রুবেল (২৮), ও বাচ্ছুর মিয়ার ছেলে মো: বাপ্পি (২৫) এর নামে গণধর্ষণ মামলা করেন ধর্ষিতার পরিবার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে খাদিজা বেগম। বাবার বাড়িতে এসে প্রতিদিন সকালে তার বোনের মেয়ে আর ভাইয়ের মেয়েকে নিজ এলাকার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় নিয়ে যান,আবার মাদ্রাসা ছুটে হলে বাড়ি নিয়ে আসতো খাদিজা।
প্রতিদিনের মত ঘটনার দিনও তাদের নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই সময় একই গ্রামের বখাটে রুবেল, বাপ্পি ও মানিক এসে নানা প্রশ্ন করতে থাকে খাদিজাকে। এক পর্যায়ে তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে পাশের মালেক মাস্টারের মাছের প্রজেক্টের মেশিন ঘরে নিয়ে যায়। আর একজন বাচ্ছাদের পাশের একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিং ঘরে নিয়ে চকলেট দিয়ে বসিয়ে রাখে।
প্রায় ১ ঘন্টা আটক রেখে সঙ্ঘবদ্ধভাবে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে। তারপর সে ধর্ষনের ভিডিও ধারণ করে রাখে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দিবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। আনুমানিক ১ টায় খাদিজাকে ছেড়ে দিলে সে তার ভাগনি ও ভাতিজিকে নিয়ে বাড়ি এসে পুরো ঘটনা বলে পরিবারের কাছে।
এই বিষয়ে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক জানান, এই বিষয়ে একটি গণধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অলরেডি অভিযান চালাচ্ছে।