কুমিল্লায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাস প্রতীকের সমর্থকেরা টেবিল ঘড়ি ও ঘোড়া প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল আটটায় ভোট শুরুর পর থেকেই এটি শুরু হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকেও হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রে সকাল আটটার আগেই টেবিল ঘড়ি ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখলে নেওয়া হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে বাস প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি। দুই-একটি বুথে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আরেক প্রার্থী নুর উর রহমানের হাতি প্রতীকের এজেন্ট দেখা গেছে। ভোটার ৩ হাজারের মধ্যে দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০৫। সকাল ৯টার দিকে এই কেন্দ্রে চারজন এজেন্টকে নিয়ে আসেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজামউদ্দিন। তাঁদের সকালে বের করে দেওয়া হয়েছিল।টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হকের (সাক্কু) ভাই কাইমুল হক রিন্কু বলেন, ‘আমাদের সব এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। মহিলা এজেন্টদের ঢুকাই দিছি, ওরা মাইরধইর কইরা বাইর কইরে দিছে। পুলিশকে জানানো হলেও সে রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।ঘোড়া প্রতীকেরএক পোলিং এজেন্ট এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি সকালে আসছিলাম। আমি সহ আর এক জনকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’অবশ্য কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কাউকে বের করে দেওয়া হয়নি। যাঁরা এসেছেন তাঁরা বুথে আছেন।’ কেন্দ্রে কাউকে মারধর করা হয়নি।
ছবি: কুমিল্লা হাই স্কুল কেন্দ্রে বাস প্রতিক এবং টেবিল ঘরি প্রতিকের এজেন্টদের দস্তাদস্তি।