ছবি: তদন্ত কমিটির সদস্যদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম।
বিবর্তন ডেক্স:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুমিল্লায় সাক্ষাত করেছেন।
আজ শুক্রবার সকাল ১১ টায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনসহ ছয়জন অবন্তিকার কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাওয়ের বাসায় আসেন। তাঁরা অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম ও ভাই জারিফ জাওয়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অবন্তিকার ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন জানান, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য তাঁরা কুমিল্লায় এসেছেন। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে তা নিশ্চিত জানাতে পারেননি তিনি।
মেয়ের আত্মহত্যায় মৃত্যুর পর এখনও ভেঙ্গে আছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে হলে হয়ত মেয়েকে হারাতে হতো না।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ, সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্টার রঞ্জন কুমার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে সহকারী প্রক্টর মুনিরা জাহান সুমি অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান ড. জাকির জানান,’সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এর আগে আমরা বেশ কয়েকটি মিটিং করেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য অবন্তিকার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে আমরা শুক্রবার কুমিল্লা এসেছি, ।
অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্তের জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে । তবে আমরা এখনই তাদের সঙ্গে কথা বলছি না। আমরা আপাতত প্রাথমিক ডাটা সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক ডাটা সংগ্রহের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত দুইজনের সঙ্গে কথা বলা হবে।’
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার অরণি নামের বাসার একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর অনৈতিক প্রস্তাব এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের নানা কটূক্তির বিষয় তুলে ধরেন।
অবন্তিকার মায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় দ্বীন ইসলাম ও আম্মান কুমিল্লা কারাগারে রয়েছেন।