বিবর্তন ডেক্স:
কুমিল্লার চান্দিনা-বাড়েরা সড়কের পাশে চান্দিনা পৌরসভা শেষ সীমানা বড়পুল সংলগ্ন এলাকায় কয়েক বছর ধরে বর্জ্য ফেলে আসছে চান্দিনা পৌরসভা। এমনকি নিমসার বাজারের কাঁচা সব্জির বর্জ্যও।
এরফলে পথচারী, সিএনজি ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, আবর্জনার কারণে খালে পানির প্রবাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষাক্ত পানি আটকে গিয়ে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে আর শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধ প্রকট হয়ে উঠছে।
সরেজমিন দেখা যায়- রাস্তার ও খালের পাশে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন ট্রাক ও ভ্যানগাড়ি দিয়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।
চান্দিনা বাড়েরা রোডের সিএনজি চালক আবুল কালাম জানান- আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে এই রোডে যাত্রীর সংখ্যার আগের তুলনায় কম। এর কারণে আমাদের আয়ও কমে গেছে। এই রোডে যাতায়াতকারী সবারই দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে এ ময়লার ভাগাড়। বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানুষকে নাকে মুখে রুমাল চেপে থাকতে হয়।
ডুমুরিয়ার গ্রামের এক ভূক্তভোগী বাসিন্দা জানান, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সড়কের পাশে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ না করার বিষয়ে ডুমুরিয়াবাসী অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। তাছাড়াও এরপাশে পুরাতন ব্রীজটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই ময়লা ফেলতে নিষেধ করে, নিজেই আবার সেখানে ময়লা ফেলছে। আর যেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সে স্থানটি পৌরসভার প্রবেশদ্বার। এরফলে খালের পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
চান্দিনা-বাড়েরা সড়কের অটোরিকশা চালক মোঃ শাহজাহান বলেন- বাড়েরা থেকে চান্দিনা বাজারে আসার পথে দেখা যায় সড়কের ওপর অনেক সময় ময়লা পড়ে থাকে। ডুমুরিয়া বড়পুলের পাশের সড়কের ফুটপাত ময়লার দখলে থাকে। দুর্গন্ধে যাত্রীদের দম বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়।