বিবর্তন ডেক্স :
ঈদুল আজহার প্রথম দিনে কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কোরবানির মাংস। নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভিক্ষুক ও গরিব-অসহায় মানুষ এবং কসাইরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে যে মাংস সংগ্রহ করছেন সেগুলো তারা এ স্থানে বিক্রি করেন।
এখানকার বেশির ভাগ ক্রেতা নিম্ন আয়ের মানুষ যারা কোরবানি দিতে পারেননি। এছাড়া এখান থেকে কম দামে মাংস সংগ্রহ করেন শহরতলী ও গ্রাম এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীরাও। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাংস সংগ্রহ করে কান্দিরপাড় মোড়ে বিক্রি করতে এসেছেন কুমিল্লার লালমাই এলাকার মোহাম্মদ আতিক। তিনি জানান, ভালো মাংস হলে আট শ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়। সর্বনিম্ন পাঁচ শ টাকা দরেও এখান থেকে মাংস কিনে নিয়ে যান অনেকে। দাম নির্ভর করে মাংস দেখতে কেমন তার ওপর। সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা দিনমজুর লাল মিয়া বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা ৩ কেজি মাংস বিক্রি করেছেন তিন হাজার টাকায়। তিনি বলেন, ‘একজন পছন্দ করে মাংস কিনে নিয়ে গেছে। আমার প্যাকেটের ৩ কেজির ওপর মাংস ছিল। যারা মাংস চেনে তারা টাকা দিয়েই কিনে নেয়।’ মাংস কিনতে আসা নগরীর পাথুরিয়া পাড়া এলাকার রহিমা বেগম (ছদ্মনাম) জানান, দিনমজুর আর পরিছন্নতা কর্মীর কাজ করে সংসার চলে। কোরবানি দেওয়ার সাধ্য নাই। তাই পরিবারের জন্য দু এক কেজি মাংস কিনেছি। তাও ছয় শ টাকা করে রেখেছে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা থেকে আসা আমির আলী নামে এক ব্যক্তি মাংস কিনেছেন অন্তত ১০ কেজি। হাড়, মাংস, চর্বি মিশ্রিত মাংস বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন দামে কিনেছেন বলে জানান তিনি । আমির আলী বলেন,‘কিছু মাংস বাসায় নিয়ে যাব। আর কিছু এলাকার হোটেলে বিক্রি করে দেব।’
মাংস বিক্রেতা পেশাদার কসাই গফুর মিয়া জানান, নগরীর কান্দিরপাড়ে কসাইরাও মাংস আনে, দানের মাংসও বিক্রি হয়। ঈদের দিন অন্তত চার থেকে পাঁচ শ কেজি মাংস এখানে বিক্রি হয়। এখানে কোন নির্দিষ্ট দাম নাই। ইচ্ছামতো দামে মাংসের কেনাকাটা চলে এখানে।